শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
॥গেয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের জৈনদ্দিন সরদারের পাড়া ও সাহাজদ্দিন মাতুব্বরের পাড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের উপর ছোট্ট একটি ব্রীজের অভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
বছরের পর বছর তাদেরকে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে খালটি পারাপার হতে হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের গঞ্জুর মাতুব্বর পাড়া ও দুর্গাপুর গ্রামের মানুষও সাঁকোর উপর দিয়ে খালটি পারাপার হয়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সীমানা জটিলতাসহ জনপ্রতিনিধিদের অনাগ্রহের কারণে খালের ওপর কোনো ব্রীজ নির্মাণ করা হচ্ছে না।
দুর্গাপুর গ্রামের শুকুর আলী বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে আসছি। দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ এ অঞ্চলের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে আসলেও সীমান্তবর্তী হওয়ায় কেউ ব্রীজ নির্মাণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় না। ব্রীজ না থাকায় এখানকার ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতেও অনেক বেগ পোহাতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা কোনো ব্যবস্থা না করায় এলাকাবাসীর উদ্যোগেই সাঁকো তৈরী ও মেরামত করতে হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ এবং দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য সাঁকো পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিক্রিসহ রোগীর জরুরী চিকিৎসার জন্যও ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হয়।
স্থানীয় সাহাজদ্দিন মাতুব্বর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতিদিন তাদেরকে নড়বড়ে সাঁকো পার হয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে হয়। কয়েকদিন আগে এক শিক্ষার্থী সাঁকো পারাপারের সময় খালে পড়ে যায়। তা সত্ত্বেও প্রতিদিন এমন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়।
উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গোলজার হোসেন মৃধা বলেন, ওই অঞ্চলের ৪টি গ্রামের কয়েকশত পরিবারের ৪/৫ হাজার মানুষ নিয়মিত সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। এলাকাবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে উপজেলা পরিষদ থেকে ইটের রাস্তা করে দিয়েছি। ওই খালের ওপর ব্রীজ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশলী বজলুর রহমান খান বলেন, সম্প্রতি ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এটি পাস হলে ওই খালের ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা মুন্সী বলেন, আমি অনেক আগেই সেখানে সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি প্রকল্পটি চলে আসবে।
Leave a Reply