শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নে ব্যাপক আকারে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
গত কয়েক দিনে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে বিপুল পরিমাণ ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দৌলতদিয়ার লঞ্চ ও ফেরী ঘাটসহ শত শত বসতবাড়ী হুমকীর মুখে পড়েছে।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ফেরী ঘাটের পার্শ্ববর্তী ঢল্লাপাড়া, ছাত্তার মেম্বারের পাড়া, বেপারী পাড়া, জলিল মন্ডলের পাড়া এবং দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাওলজানিসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর পাড় দিয়ে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এসব এলাকার কয়েক শত পরিবার বসতবাড়ী হারানোর ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। গত বছরের ভাঙ্গনে এসব এলাকার প্রায় ৩শত বসতবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় এবং আরও প্রায় ২শত পরিবার নদীর পাড় থেকে তাদের বসতবাড়ী অন্যত্র সরিয়ে নেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে গুরুত্বপূর্ণ ২/১টি সরকারী স্থাপনা রক্ষার চেষ্টা করলেও ফসলী জমি ও সাধারণ মানুষের বাড়ী-ঘর রক্ষায় তাদের কোন উদ্যোগ নেই।
স্থানীয়রা আক্ষেপ করে বলেন, বর্ষা মৌসুম আসলে মন্ত্রী, এমপি, সরকারী কর্মকতা ও স্থানীয় নেতা- সবাই এসে খুব দরদ দেখায়। বলে নদী শাসন করবে, বাঁধ দিবে-নদী আর ভাঙ্গবে না। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।
এদিকে রাজবাড়ী জেলায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার একর জমির ফসল ডুবে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। উজানচর, দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম, বরাট, মিজানপুর, চন্দনী, খানগঞ্জ, রতনদিয়া, কালিকাপুর, হাবাসপুর ও বাহাদুরপুর প্রভৃতি ইউনিয়নে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন গ্রাম ও ফসল ডুবে গেছে। বাদাম, ধান, তিল, পাট ও পটোল ক্ষেতসহ ঘর-বাড়ী বিলিন হয়ে গেছে নদীতে।
বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ও জঙ্গল ইউনিয়নের গড়াই নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় ১২টি গ্রামের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম শেখ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর পানি ৩০ সেঃ মিঃ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ও গোয়ালন্দর দৌলতদিয়া বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Leave a Reply