শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
হাসান আরিফ সাগরের জলরাশি ও এর তলদেশের বিশাল সম্পদকে কাজে লাগানোই হচ্ছে সমুদ্র সম্পদ নির্ভর অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমি। কেবল সমুদের নীচের অর্থনৈতিক কার্যক্রম নয়, সমুদ্র নির্ভর যে কোন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডই ব্লু ইকোনমির আওতায় পড়ে। ব্লু ইকোনমির অন্যতম অনুষঙ্গ মৎস্য, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ আহরণ। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল এই ধরনের সম্পদে ভরপুর। বঙ্গোপসাগরের খনিজ সম্পদ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বিশাল এক আশীর্বাদ। এ কারণে ব্লু ইকোনমি পরিধি সমুদ্রের মতোই বিশাল। আগামী প্রজন্ম তাদের চাহিদা মেটাতে তাকিয়ে আছে সমুদ্র বক্ষে সঞ্চিত সম্পদের দিকে। বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোও এই অর্থনীতিতেই ব্যাপক বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশও তার বিশাল সমুদ্র সম্পদের ওপর ভর করে দেশের আর্থিক উন্নয়ন করতে যাচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরের বহুমাত্রিক সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় রেখে সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট-১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন। মিয়ানমার ও ভারতের সাথে অমীমাংসিত সমুদ্রসীমা ছিল সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক সাফল্যের সুবর্ণ ফসল মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ সমাধান। ফলে মিয়ানমারের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে সমুদয় অর্থনৈতিক অঞ্চল ও তার বাইরে মহাদেশীয় বেষ্টনী এবং একইভাবে ভারতের সঙ্গে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহাদেশীয় বেষ্টনীর মধ্যে সকল প্রকার সম্পদের ওপর বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সর্বমোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চল লাভ করেছে, যা মূল ভূ-খ-ের প্রায় ৮০.৫১ শতাংশ।
মূলত বিশাল সমুদ্রজয়ের পর সমুদ্র অর্থনীতি ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে এই ব্লু ইকোনমির বদৌলতেই। ফলে ধারণা করা যেতে পারে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে ব্লু ওশান ইকোনমি বা নীল সমুদ্র অর্থনীতি। এ জন্য সাগরের সম্পদ আহরণে নেওয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কর্মপন্থা। ইতিমধ্যে সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে। অন্যদিকে উপকূলীয় অন্যান্য দেশের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেতে আগে থেকেই নেওয়া হয়েছে কার্যকরী পরিকল্পনা। তাই মেরিটাইম বা সাগর সংক্রান্ত সম্পদ ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে বঙ্গোপসাগরে নতুন অর্থনৈতিক দুয়ার উন্মোচন করার অপেক্ষায় বাংলাদেশ।
সমুদ্র জয়ের পর বাংলাদেশের অফশোর ব্লক ম্যাপ পুনর্বিন্যাস করে সমুদ্রাঞ্চলকে ২৬টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে অগভীর অংশে ব্লক ১১টি আর গভীর সমুদ্রে ব্লক ১৫টি। বর্তমানে অগভীর সমুদ্রের তিনটি ও গভীর সমুদ্রের একটি ব্লকে মোট পাঁচটি আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানী একক ও যৌথভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত আছে। যা থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০১২ এর আওতায় ২০১৪ সালের ১২ই মার্চ আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানী সান্তোস-ক্রিস এনার্জির সঙ্গে বাপেক্সের অফশোর ব্লক শ্যালো সি (এসএস)-১ এর একটি প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি) হয়। ব্লকটিতে ২০১৫ সালে ৩ হাজার ২২০ লাইন কিলোমিটার টুডি সিসমিক জরীপ সম্পন্ন হয়। এ ব্লকে ৮-১০টি সম্ভাবনায় লিড/প্রসপেক্ট শনাক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের মে মাসে এ ব্লকে ৩০৫ বর্গকিলোমিটার থ্রিডি সিসমিক জরীপ পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে ইন্টারপ্রিটেশন চলছে। নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী ২০১৯ সাল নাগাদ ব্লক এসএস-১১তে একটি অনুসন্ধান কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৪ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী ভারতের অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশনের(ওএনজিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওএনজিসি ভিদেশ লিমিটেড (ওভিএল) ও অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের (ওআইএল) সঙ্গে বাপেক্সের এসএস-০৪ এবং এসএস-০৯ এর জন্য দু’টি পিএসসি সই হয়। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে তারা ৫ হাজার ৫৫২ লাইন কিলোমিটার টুডি মেরিন ও ওশান বটম কেবল (ওবিসি) সিসমিক জরীপ সম্পন্ন করেছে। এখানেও তিনটি অনুসন্ধান কূপ খননের প্রক্রিয়া রয়েছে। গভীর সমুদ্র ব্লক ডিপ সি (ডিএস)-১২ এর জন্য পোসকো দাইয়ু কর্পোরেশনের সঙ্গে ২০১৭ সালের ১৪ই মার্চ একটি পিএসসি সই হয়। এই চুক্তির আওতায় দাইয়ু এ ব্লকে ৩ হাজার ৫৬০ লাইন কিলোমিটার টুডি সিসমিক জরীপ সম্পন্ন করেছে। এ ব্লকে পাঁচটি বেশ সম্ভাবনাময় লিড/প্রসপেক্ট শনাক্ত করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সমুদ্রে শুধু মাছই রয়েছে প্রায় ৫০০ প্রজাতির। এছাড়াও শামুক, ঝিনুক, শ্যালফিস, কাঁকড়া, অক্টোপাস, হাঙ্গরসহ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী, যেগুলো বিভিন্ন দেশে অর্থকরী প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রাণী সম্পদ ছাড়াও ১৩টি জায়গায় আছে মূল্যবান বালু, ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম। এগুলোতে মিশে আছে ইলমেনাইট, গার্নেট, সিলিমেনাইট, জিরকন, রুটাইল ও ম্যাগনেটাইট। এসব সম্পদ অতি মূল্যবান। তাছাড়া সিমেন্ট উৎপাদনের উপযোগী প্রচুর ক্লে রয়েছে সমুদ্রের তলদেশে।
ক্রমাগত সম্পদ আহরণের ফলে বিশ্বে স্থলভাগের সম্পদের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। তাই নতুন সম্পদের খোঁজে রয়েছে সারা বিশ্ব। বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেভ আওয়ার সি’র তথ্য অনুযায়ী, সমুদ্র থেকে মাছ ধরে শুধু রপ্তানী করেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। গভীর সমুদ্র থেকে আহরিত টুনা মাছ সারা বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এই মাছটি দেশের আন্তর্জাতিক মানের হোটেলগুলোতে আমদানী করা হয়ে থাকে। এই মাছ সঠিকভাবে আহরণ করতে পারলে নিজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করাও সম্ভব। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ থেকে খাবার, মাছের তেল দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, সস, চিটোসান ইত্যাদি তৈরী করা সম্ভব, যার ফলে নতুন ধরনের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তা বিদেশে রপ্তানী করেও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যেতে পারে। এসডিজি’র ১৪ নম্বর ধারায় টেকসই উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক সম্পদের অনুসন্ধান ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। আর তাই ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি পূরণের জন্য সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।
মৎস্য ও খনিজ সম্পদ আহরণের পাশাপাশি সমুদ্রের তীরবর্তী পর্যটন কেন্দ্রের মাধ্যমেও অর্থনৈতিক বিপ্লবের কথা ভাবছে বাংলাদেশ। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, প্রতি বছর বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গড়ে এক হাজার হেক্টর করে ভূখ- বাড়ছে। ব্লু ইকোনমি রূপরেখা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সমুদ্রে ভূখ- আরও বাড়ানো সম্ভব। কৃত্রিমভাবে বাঁধ তৈরী করে পলিমাটি জমাট/চর জাগানোর মাধ্যমে সৃষ্ট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভূখন্ডে মালদ্বীপের মতো দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলাও সম্ভব। এতে দেশের অর্থনীতি বহুমাত্রিকতা পাবে।
ব্লু ইকোনমি সেলের মাধ্যমে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে আমরা যে জায়গার অধিকার পেয়েছি, সেখানে বিপুল পরিমাণ সমুদ্র সম্পদ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা(এসডিজি) পূরণের জন্য আমাদের সে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। সমুদ্র সম্পদ বা ব্লু ইকোনমি বিষয়ে সেল গঠনের মাধ্যমে আমরা অনেক এগিয়েছি।
সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণে ১৭টি মন্ত্রণালয় ও ১০টি অধিদপ্তরের মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করা হচ্ছে। সেখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরগুলোকে কাজের পরিধি ও সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সমুদ্র সম্পদ আহরণে বিভিন্ন ক্যাটাগরীর কয়েকটা জাহাজ কেনার পরিকল্পনা আছে। একটা হচ্ছে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরীপ অধিদপ্তরের মাধ্যমে। স্থলভাগের ভূগর্ভস্থ সম্পদগুলোর আহরণের কাজ ভূ-তাত্ত্বিক জরীপ অধিদপ্তর করে থাকে। আর গভীর সমুদ্রে তেল এবং গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ পেট্রোবাংলা ও বাপেক্স করে থাকে। তবে এ কাজগুলো করার জন্য এতদিন আমাদের বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার আরেকটি জাহাজ কিনবে। সমুদ্রের ভূ-তাত্ত্বিক বিষয় অনুসন্ধানের জন্য। এটার মাধ্যমে সমুদ্রের তলদেশে খনিজ সম্পদ আদৌ আছে কী নেই সেটা জানা যাবে। এছাড়া পেট্রোবাংলা এবং বাপেক্স আরেকটি জাহাজ কেনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যেটাকে বলা হয় মাল্টি রোল ভ্যাসেল। এ জাহাজ দিয়ে বিভিন্নমুখী গবেষণা করা যাবে। মাল্টি রোলের মধ্যে আছে, টুডি এবং থ্রিডি সিসমিক জরীপ করার যন্ত্র ও বিভিন্ন ভূ-তাত্ত্বিক গবেষণাগার। এ জাহাজে একাধিক বিভাগ এক সঙ্গে কাজ করতে পারবে।
২০১৮ সালের মধ্য ভাগে জাতিসংঘের পতাকাবাহী নরওয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন রিসার্চ (আইএমআর) কর্তৃক পরিচালিত অত্যাধুনিক একটি গবেষণা জাহাজ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় অ্যাকুয়াস্ট্রিক সার্ভে পরিচালনা করে। উক্ত জাহাজটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৎস্য ও সম্পদ এবং ইকোসিস্টেমের ওপর ১৫ দিনের জরীপ করে। বিশেষায়িত জাহাজটি সমুদ্রের উপরিস্তরের মাছের মজুদ, ইকোসিস্টেম, পানির গুণাগুণ, প্লাস্টিকসহ নানা ধরনের দূষণ ইত্যাদি বহুমুখী বিষয়ে জরীপ করে থাকে। সমুদ্রের ১০ মিটার থেকে ২ হাজার মিটার গভীরতা পর্যন্ত জরীপ করেছিল জাহাজটি। যা আমাদের ব্লু ইকোনমিক ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
সাগরের এ সম্পদ আহরণে দেশকে সমৃদ্ধ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ) সঙ্গে ২০১৬ বছরের আগস্টে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এই চুক্তির মাধ্যমে ইইউর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এ চুক্তির আওতায় দুই বছর সমুদ্র অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ গবেষণা করবে সমুদ্র গবেষণায় দক্ষ ইইউ। এরপর এ সম্পদ কীভাবে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশমালা তুলে ধরা হবে। এছাড়া সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও সমুদ্রসীমার ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত ও চীনের সঙ্গে পৃথকভাবেও কাজ করবে সরকার।
বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে জাপানেরও। এছাড়া হাতে নেয়া হয়েছে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ। এর বাইরে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী হচ্ছে। আশা করা যায়, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই নীল সমুদ্র অর্থনীতিতে বলীয়ান হবে দেশ। ইতিমধ্যে গৃহীত ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত করার পরিকল্পনা অন্যতম অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হলে উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। -পিআইডি প্রবন্ধ।
Leave a Reply