॥মীর সামসুজ্জামান॥ রাজবাড়ী জেলায় বিভিন্ন সময়ে হারানো বা চুরি হয়ে যাওয়া ৩৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

গতকাল ২৭শে আগস্ট দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ মোবাইল ফোন গুলো তাদের হাতে তুলে দেন।

মোবাইল ফোন হস্তান্তরের আগে পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন থানায় প্রতিদিন মোবাইল হারানোর জিডি হয়। জিডি নিয়ে নিয়মিত কাজ করে জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিম। সেই জিডিগুলোর প্রেক্ষিতে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল এসব মোবাইলগুলো উদ্ধার করা হয়। আমরা খুবই আনন্দিত এ কাজটি করতে পেরে। হারানো কোন কিছু ফিরে পেয়ে মানুষ যে আনন্দ পায় এটাই আমাদের প্রাপ্তি। এটাই আমাদের সাফল্য।

মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে ডাঃ কোবাত হোসেন বলেন, ২মাস আগে আমার চেম্বার থেকে ফোনটি হারিয়ে যায়। পরে থানায় জিডি করি। জেলা পুলিশের মাধ্যমে মোবাইলটি আজ ফিরে পেলাম। এর মাধ্যমে জেলা পুলিশসহ বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি আমার আস্থা বেড়ে গেলো।

মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে আবুল কালাম আজাদ নামে অপর একজন বলেন, গত তিন মাস আগে আমার নিজ বাসা থেকে ফোনটি চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে থানায় জিডি করি। ভাবতে পারিনি আমার ফোনটি আমি আবার ফিরে পাবো। আজ পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে আমার চুরি হওয়া ফোনটি আজ ফিরে পেলাম। খুব ভালো লাগছে। জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানায়।

মোবাইল ফোন ফেরত পাওয়া বাঁধন অধিকারী ও সাইফ বিশ্বাস বলেন, আমরা কখনো ভাবতে পারিনি হারানো বা চুরি হওয়া ফোন ফেরত পাওয়া যায়। জেলা পুলিশ আজ আমাদের হারিয়ে যাওয়া ফোন উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা খুবই খুশি। হারানো জিনিস ফেরত পেলে কি যে আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমরা আন্তরিকভাবে জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সালাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ ইফতেখারুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহাসহ জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এ্যান্ড অপস্) মোঃ রেজাউল করিম বলেন, মোবাইল উদ্ধারের কাজটি প্রথমে দায়িত্ব থেকেই করতাম। এখন আসলে আমার নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কেউ আমাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ম্যাসেঞ্জারে নক দিয়ে জিডির কপি দিলে তার হারানো মোবাইল উদ্ধার করে দেওয়া হয়। পুলিশের রুটিন দায়িত্বের পাশাপাশি এ কাজটি করতে ভালো লাগে। এ কাজটি সব সময়ই করে যেতে চাই।