রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন
॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘ দিন যাবৎ অবকাঠামো সংকটে রয়েছেন।
উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত নতুন ভবন নির্মিত হলেও সেখানে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর স্থানান্তরিত হয়নি। পুরাতন ভবনের দুটি কক্ষে নানা দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেখানে টয়লেট ব্যবস্থাপনা না থাকায় দুর্ভোগের সাথে যেন মানসিক কষ্ট যুক্ত হয়েছে। উপজেলা পরিষদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে সমস্যাদির কথা লিখিতভাবে জানানো হলেও প্রতিকারে সাড়া মেলেনি।
জানা যায়, পাংশা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে বালিয়াকন্দির জাহাঙ্গীর আলম অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। খাদ্য পরিদর্শক দুইজন, উপ-খাদ্য পরিদর্শক একজন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ৩জন দায়িত্বে রয়েছেন। ব্যবহৃত দু’টি কক্ষের একটিতে বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। ৭জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য সাধারণ দুটি কক্ষে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা কষ্টকর ব্যাপার। এর মধ্যে কোনো কক্ষেই টয়লেট ব্যবস্থাপনা নেই। অফিসের পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কখনো পাশের মসজিদের টয়লেট ব্যবহার করেন। কিন্তু অফিসে টয়লেট ব্যবস্থাপনা না থাকায় বিব্রত নারী কর্মকর্তা। প্রয়োজনে পাশের অন্য দপ্তরের কর্মকর্তার টয়লেট ব্যবহার করতে গেলে বিরূপ মন্তব্য শুনতে হয় তাকে। এ নিয়ে মানসিক কষ্টে দাপ্তরিক কাজ করে চলেছেন খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী, জিআর, ভিজিডি, ভিজিএফ ও কাবিখাসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির কাজ করতে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে জনপ্রতিনিধি ও ডিলারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজনের আগমন ঘটে। অন্তত ১টিতে টয়লেটযুক্তসহ ৩টি কক্ষ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে অবকাঠামো সংকট দূরীকরণে দায়িত্বশীল উর্ধতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন পাংশা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
Leave a Reply