শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন
॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম আগামী ২৩শে জানুয়ারী বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
রাজবাড়ী জেলা পরিষদের ১জন প্যানেল চেয়ারম্যানসহ মোট ১৫জন সদস্যের আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ শাখা থেকে গত ৫/৯/২০২১ তারিখে অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার ঢাকা বিভাগের পরিচালক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(রাজস্ব) মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এ প্রেক্ষিতে সংক্রান্তে স্থানীয় সরকার ঢাকা বিভাগের পরিচালক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(রাজস্ব) মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ প্রথমে গত ২৬/১২/২০২১ইং তারিখ বেলা ১১টায় তদন্তের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু অনিবার্য কারণবশতঃ উক্ত তারিখ ও সময় পরিবর্তন করে আগামী ২৩শে জানুয়ারী বেলা ১১টায় পুনঃ নির্ধারণ করেন।
এ তদন্ত সংক্রান্তে তিনি রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে গত ২২শে ডিসেম্বর তারিখের(স্মারক নং-৪৬.৪১.৩০০০.০১৭.২৭.২০৬.২০২১-৪৪৯, তারিখ-২২/১২/২০২১ইং) এক পত্রে তদন্তকালীন সময়ে প্রমাণক কাগজপত্রসহ অভিযোগকারীগণসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ জারীর অনুরোধ জানিয়েছেন।
জেলা পরিষদ সুত্র জানায়, উক্ত পত্রের প্রেক্ষিতে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মানিকহার রহমান গত ২৮শে ডিসেম্বর তারিখে অভিযোগকারী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানসহ মোট ১৫জন সদস্য এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ২৩/১/২০২২ তারিখ বেলা ১১টায় তদন্ত কার্যক্রমে জেলা পরিষদে উপস্থিত থাকার জন্য পত্র প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হান্নান, ১৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আহম্মদ হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সাত্তার খান, ১১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ খায়রুল ইসলাম, ৪নং সংরক্ষিত আসনের সদস্য বেগম নুরুন্নাহার, ১৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ শাজাহান আলী, ১২নং ওয়ার্ডের সদস্য উত্তম কুমার কুন্ডু, ১৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান, ৫নং সংরক্ষিত আসনের সদস্য ডলি রানী দেবদাস, ১০নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান মজনু, ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন শেখ, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ রাশেদুল হক অমি, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ নাজমুল হাসান মিন্টু, ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য নুর মোহাম্মদ ভূইয়া, ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ নুরুজ্জামান মিয়া ও ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মীর্জা মোঃ ফরিদুজ্জামান ২০২০ সালের ১১ই মে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরদিন ১২ই মে দৈনিক মাতৃকণ্ঠসহ জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে “নির্বাচিত ১৬জন সদস্যর অভিযোগে বেরিয়ে এসেছে থলের বিড়াল॥তদন্তের দাবী”॥“রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর জব্বারের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ” শিরোনামে এবং ২০২০ সালের গত ১৭ই মে জেলা পরিষদের ২৮তম মাসিক সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের কাছে দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন পরিষদের সদস্যবৃন্দ। এ বিষয়ে ২০২০ সালের গত ১৯শে মে দৈনিক মাতৃকণ্ঠসহ জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে “অনিয়ম-দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে সোচ্চার সদস্যরা”॥“সরকারী টাকায় চেয়ারম্যান ফকীর জব্বারের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক প্রকল্পে ভরপুর রাজবাড়ী জেলা পরিষদ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
Leave a Reply