শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ অপরাহ্ন
॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বিদেশ ফেরত যাত্রীরা করোনাভাইরাস নেগেটিভ সার্টিফিকেট সাথে না আনলে বাধ্যতামূলক ১৪দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘বিদেশ ফেরত যাত্রীদের অবশ্যই নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে করে আনতে হবে। তা না হলে দেশে এলেই বাধ্যতামূলক ১৪দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গতকাল ১৫ই নভেম্বর দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নতুন একশ ভেন্টিলেটর মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নিকট ১০০টি ভেন্টিলেটর হস্তান্তর করেন।
বেসরকারী হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,দেশের সকল প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতালকে সরকারের দেয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই লাইসেন্স গ্রহনের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হতে হবে।লাইসেন্স ছাড়া কোন প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতাল চালানো যাবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমেরিকা বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র। দেশের উন্নয়নমূলক কাজে আমেরিকা সরকার সবসময় বন্ধুর মতই এগিয়ে এসেছে। এই করোনা দুর্যোগে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর দেশ আমেরিকা। নিজ দেশের এতো বড় বিপর্যয়ের পরেও আমেরিকা বাংলাদেশকে ১০০টি অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর উপহার দিচ্ছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, এই ভেন্টিলেটরগুলো অত্যন্ত আধুনিক ও সহজে ব্যবহার উপযোগী। এমনকি পর্যাপ্ত ট্রেনিং ছাড়াও এই ভেন্টিলেটরগুলি ব্যাবহার করা যায়। এ কারণে দেশের উপজেলা পর্যায়ে যেখানে এখনো আইসিইউ সেবা পৌছানো সম্ভব হয়নি সেসব এলাকায় এই একশ সহ আরো নতুন ৩’শ ভেন্টিলেটর কিনে খুব দ্রুতই পাঠানো হবে।
অনুষ্ঠানে কোভিড-১৯ কালীন দুঃসময়ে বাংলাদেশ আমেরিকায় প্রচুর পরিমানে পিপিই সরবরাহ করেছে বলে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। তিনি ভবিষ্যতে দু’দেশের সম্পর্ক আরো মজবুত হবে বলেও জানান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ইউএসএইডের ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর জন এলিও, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির মহাসচিব প্রফেসর আহমেদুল কবীর।
Leave a Reply