বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন
॥সুশীল দাস॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন বিশিষ্ট ক্রীড়ামোদী, তরুণ সমাজসেবক ও যুবলীগ নেতা মীর আব্দুর রহিম সজল। এ জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করে অচিরেই তিনি মাঠে নামছেন।
রামকান্তপুর ইউনিয়নের বেথুলিয়া মিয়াপাড়া গ্রামের মীর আব্দুল আজিজের পুত্র মীর আব্দুর রহিম সজল রাজবাড়ী শহরের বড়পুল এলাকার নিজেদের আরেকটি বাড়ীতে বসবাস করলেও গ্রামের বাড়ীতে নিয়মিত আসা-যাওয়াসহ রামকান্তপুর ইউনিয়নবাসীর সাথে তার নিবিড় সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। রাজবাড়ী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী সরকারী কলেজের একসময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা মীর আব্দুর রহিম সজল বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটল এসোসিয়েশনের(ডিএফএ) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্য এবং নিজ এলাকার বিবিএম সূর্য তরুণ সংঘ ও কাজী ইরাদত আলী স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি। তার বিবিএম সূর্য তরুণ সংঘের ফুটবল দল নিয়মিতভাবে রাজবাড়ীর ১ম বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে থাকে এবং ২য় বিভাগ ফুটবল লীগে তারা রানার্স আপও হয়েছে। এর পাশাপাশি বিবিএম সূর্য তরুণ সংঘ ও কাজী ইরাদত আলী স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্ট ও অন্যান্য খেলাধুলার আয়োজন করে তিনি সব মহলে প্রশংসিত হয়েছেন।
রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে জনপ্রিয় যুবনেতা মীর আব্দুর রহিম সজল বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ সামাজিক কর্মকাণ্ড করে আসছি। সবসময় ইউনিয়নবাসীর পাশে থাকাসহ ইউনিয়নের উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছি। কিন্তু একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির পক্ষে সাধারণ মানুষের জন্য যা করা সম্ভব-তা কোন ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্যই জনদাবীর প্রেক্ষিতে আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছি। যেহেতু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন দলীয়ভাবে হয়ে থাকে সেহেতু আমি আমার দলের কাছে মনোনয়ন চাইবো। মহান আল্লাহ্র রহমতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে দল-মত নির্বিশেষে সবার মতামত ও সহযোগিতায় আমার ইউনিয়নকে একটি ‘মডেল ইউনিয়ন’ হিসেবে গড়ে তুলবো। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ ইউনিয়নবাসীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবো। শতভাগ সততার সাথে ইউনিয়নবাসীর সেবা করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবো। সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাবো। ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সবাই আমার কাছ থেকে সমান মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা পাবে। বিশেষ করে ইউনিয়নের দুস্থ-অসহায় মানুষ যাতে পরিষদের ও সরকারের সুযোগ-সুবিধাগুলো পায় সে ব্যাপারে সবসময় সচেষ্ট থাকবো। তিনি সকলের দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।
Leave a Reply