রবিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
॥পাংশা থেকে শামীম হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম সগিরের কে.এম.বি ব্রিকস নামক ইট ভাটায় অবৈধভাবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইট ভাটাটিতে দেদারসে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ইট ভাটা হলেও েেদখে মনে হয় এটি একটি কাঠের কারখানা। ভাটায় পোড়ানোর জন্য কাঠ কাটতে ব্যস্ত রয়েছে ৩জন শ্রমিক। এই ভাটায় সব সময় কাঠ দিয়েই ইট পোড়ানো হয় বলে জানান তারা।
ইট ভাটার সাথেই রয়েছে তারাপুর দাখিল মাদরাসা। মাদরাসার অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, আমরা এখন এই ইট ভাটার প্রতিবেশী। মাদরাসায় তারা অনেক অর্থ ডোনেট করে থাকে। তবে চৈত্র মাসে কিছুটা সমস্যা হয়। সে সময় দরজা-জানালা বন্ধ করে পাঠদান করা হয়।
ইট ভাটা এলাকার কৃষক নজর আলী বলেন, আমার ধান ক্ষেতের পাশেই ইট ভাটার আগুন জ্বলে। প্রচন্ড ধোঁয়া আর আগুনের তাপে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ইট ভাটা এলাকার সব জমিই ফসলী জমি। ভাটাটি চালু হওয়ার পর থেকেই জমিতে ফসল ভালো হয় না। এ জন্য অনেকে ফসল চাষ বন্ধ করে দিচ্ছে। অনেকে জমি বিক্রি করে দিচ্ছে। শুধু ফসলের ক্ষতিই নয়, ভাটায় ইট প্রস্তুত করার জন্য বালু ও মাটিবাহী ট্রাক চলাচলে আমাদের পাংশা শহরে প্রবেশের একমাত্র সড়কটি খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।
ইট ভাটার মালিক রবিউল আলম সগিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজী হননি। তিনি তার ভাটার ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে বলেন।
ইট ভাটার ম্যানেজার হাসান মাহমুদ বলেন, শুধু আমরাই নয়-পাংশার আরও ৩টি ইট ভাটায় কাঠ পোড়ানো হয়। আমাদের ভাটার কাঠ পোড়ানোর বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন জানে। কাঠ পোড়ালে কোন সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আলী বলেন, ওই ইট ভাটা সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। আইন সবার জন্য সমান। ভাটা যারই হোক না কেন, কাঠ পোড়ানোর কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply