রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
সাপ্তাহিক সাহসী সময়ের ২৬তম বর্ষে পদার্পনে সকলকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন ৫৩তম মহান বিজয় দিবস আজ নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে খেজুরের কাঁচা রস পান না করার জন্য আহবান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচি রাজবাড়ীতে হারানো ৩৫টি মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করল পুলিশ রাজবাড়ীতে গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি কালুখালী উপজেলার হোগলাডাঙ্গী মাদ্রাসা থেকে দাখিল-আলিম পরীক্ষার কেন্দ্র স্থানান্তরে ১১টি মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম অনিশ্চয়তার পথে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলায় ভ্যান উল্টে গভীর গর্তে পড়ে মসলা বিক্রেতা নিহত রাজবাড়ীতে সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন ডিজিটাল যোগাযোগ ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের উদীয়মান ক্ষেত্র ঃ ভার্মা

নাগরিকদের দুর্ভোগের কথাটিও মনে রাখুন

ফাইল ছবি

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ সভা–সমাবেশ করে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে তাদের নীতি ও কর্মসূচির কথা জানাবে, এটাই নিয়ম। সে ক্ষেত্রে কোন দল ক্ষমতায় আছে আর কোন দল ক্ষমতার বাইরে, সেটি দেখা প্রশাসন তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব নয়। তাদের দায়িত্ব শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জনগণের জানমালের হেফাজত করা।

সেই বিবেচনায় গত রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশটি যে ভালোয় ভালোয় শেষ হয়েছে, সে জন্য দলের নেতারা ধন্যবাদ পেতে পারেন। দুই বছর পর অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ ছিল বিএনপির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আগেই হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো অঘটন ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো উচ্ছৃঙ্খল আচরণ না করা সত্ত্বেও ঢাকার প্রবেশপথ ও শহরের বিভিন্ন সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখা কেবল অস্বাভাবিক নয়, বেআইনিও। মালিকেরা বাস নামাননি বলে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে সাফাই গাওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা কার ইঙ্গিতে কাজটি করেছেন, সেটি খতিয়ে দেখা জরুরি। বিরোধী দলের কর্মসূচি থাকলেই বাস-ট্রেন-লঞ্চ বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দেওয়ার কুঅভ্যাসটি ত্যাগ করা বাঞ্ছনীয়।

বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করতে পারে বলে সরকারের তরফে দীর্ঘদিন ধরে বলে আসা হচ্ছে। রোববারের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ তেমন আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক দলেরই কর্তব্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন। এ কারণে আমরা বরাবর হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিরোধিতা করে আসছি। কোনো অবস্থায়ই জনগণের জানমালের ক্ষতি হয় কিংবা তারা দুর্ভোগে পড়ে, এ রকম কর্মসূচি নেওয়ার সুযোগ নেই।

তবে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এও মনে রাখতে হবে যে, ভয়াবহ যানজটে আক্রান্ত রাজধানীতে আহূত সমাবেশ যত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলই হোক না কেন, জনদুর্ভোগ এড়ানো যাবে না। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া কোনো সমাবেশ করা উচিত নয়। বিকল্প হিসেবে তারা পাড়ায় পাড়ায় ছোট ছোট সমাবেশ করতে পারে। আর আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে রাস্তা বন্ধ করে ঘন ঘন সমাবেশ করারই বা কী প্রয়োজন? জনগণের করের পয়সায় চালিত রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও বেতার যদি সরকারি দলের মুখপত্র না হয়ে সব দলের বক্তৃতা–বিবৃতি প্রচার করে, তাহলে সমাবেশের প্রয়োজনীয়তা অনেকখানি কমে যাবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved  2022 sahasisamoy
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!